AkashNetMBest Websie Site Daly UpdateClick Here To Mobile Version ViewWelcome To Akash Telecom And Mobile Servesing.. Senter +8801948870664 আমাদের এই সাইটের সকল ফ্লাস ফাইল পাসওয়ার্ড ছাড়া, এবং সম্পূর্ন ফ্রী ডাউনলোড করতে পারবেন ৷ এবং সব ফাইল গুলো, ১০০% চেক করা ৷ বিদ্র:-যদিও কোনো কারনে পাসওয়ার্ড দেয়া থাকে , সেটা Download এর উপরে দেখতে পাবেন ৷ ধন্যবাদ ৷ আমাদের আরেকটি সাইট হলো Tips My 24 Back

পাইলাম আমি ইহাকে পাইলাম

অলস বিকেলে রাস্তায় হাঁটছি আর সিগারেট ফুঁকছি এমন সময়
একটা মেয়ে হঠাৎ
সামনে এসে দাঁড়ালো। আমি আঁতকে উঠলাম...
.
কিছু বুঝে উঠবার আগেই মেয়েটা বললো
-- চল ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি
সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে!
.
আমি হতভম্ব। মেয়েটা এসব কি বলে পাগল নাকি......!
.
-চলো ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি মানে কি? আর আপনি কে?
.
-আমি কে সেটা জানা খুুব ইম্পর্ট্যান্ট না! ইম্পর্ট্যান্ট
হচ্ছে আজকে আমরা একসাথে রিক্সায় ঘুরবো। এজন্য এখনই
বেরিয়ে পড়তে হবে!
.
আমি হাতে চিমটি কাটলাম। স্বপ্ন দেখছি না তো!
ব্যাথা পেলাম। তারমানে স্বপ্ন না। ব্যাপারটা বাস্তবে ঘটছে!
.
মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটার মধ্যে সাহিত্যের
প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে। 'বনলতা সেন' টাইপের সাজ
দিয়ে এসেছে। নীল শাড়ি, কালো টিপ,দু'হাত ভর্তি নীল চুড়ি,
খোলা চুলে একাকার অবস্থা!!
.
-আচ্ছা তোমার কোন ভালো শার্ট নাই? এইটা কি শার্ট পরছো?
এতো ময়লা কেনো? ভালো একটা শার্ট পরে এসো তাড়াতাড়ি!
.
-দেখেন আমি আপনাকে চিনি না। আমি কেনো ভালো শার্ট
পরবো? আর আপনার সাথে কেনোই বা ঘুরবো? আর
ভালো কথা আমার কোনো ভালো শার্ট নেই......হুহ(ভাবলাম
বেঁচে যাব কিন্তু এ কি উল্টো)
.
-- ( চোখগুলো ছোটো করে মুখটা একটু বাঁকিয়ে) আমি বলছি তাই
ঘুরবেন
.
-আপনার সাথে ঘুরার প্রশ্নই উঠে না। আপনাকে তো চিনিই
না কেন ঘুরবো আপনার সাথে।
.
-আপনি আমার সাথে না গেলে এইখানে আমি মানুষ
জড়ো করবো। তখন আপনি বিপদে পড়বেন।
একটা মেয়েকে একা পেয়ে রাস্তায় ইভটিজিং করছেন।
বুঝতে পারছেন কি হবে? অতএব গুডবয়ের মতো আমার
সাথে চলুন
আমার আর কিছু করার নাই।
.
একটা রিক্সা নেয়া হয়েছে। রিক্সা হাওয়ার বেগে উড়ছে।
রিক্সার সাথে তাল দিয়ে মেয়েটার চুলও উড়ছে। আমি চুলের
মিষ্টি গন্ধ নিচ্ছি।
মেয়েটা একমনে চুইংগামও চিবোচ্ছে। মাঝেমধ্যে ফোলানোর
চেষ্টা করছে। ফুরফুরে মেজাজে আছে।
.
আমি চিন্তায় পড়ে গেছি। মেয়েটা আমার কাছে কি চায়?
আচ্ছা এমনকি হতে পারে মেয়েটা ছিনতাই পার্টির সদস্য
কিংবা মলম পার্টি নতুবা কোনো বড় ধরনের চোরাচালানের
সাথে যুক্ত....?
আমার সাথে সারাদিন ঘুরবে। রেস্টুরেন্টে মজা করে খাবে।
আমাকে ফতুর বানিয়ে দিবে। তারপর যাওয়ার সময় মোবাইলটাও
নিয়ে চলে যাবে!
.
-এই! তুমি এতো দূরে বসে আছো কেনো?
.
-তোমার খারাপ লাগছে?
.
-হ্যা
.
-একটা কাজ করলে কেমন হয়?
.
-কি কাজ?
.
-তোমার কোলের উপর উঠে বসি কেমন হয়? তাহলে কোন দূরত্ব
থাকবে না!
.
আমার কথা শুনে মেয়েটা খিল খিল করে হেসে উঠলো!
.
-তুমি শুধু শুধু রাগ দেখাচ্ছো। পৃথিবীর সব ছেলেদেরই
রুপবতী তরুণীর সাথে ঘুরতে ভালো লাগে। আমার
ধারণা তোমারও ভালো লাগছে।
.
আমি কিছু বললাম না। ঘটনা সত্য । আমার আসলেই
কিছুটা ভালো লাগছে!
.
-আমরা রিক্সা নিয়ে এখন জি.ই.সি যাব তারপর
বারোটা গোলাপ কিনবো
- গোলাপ দিয়ে কি হবে?
- গোলাপের পাপড়ি ছিঁড়বো
- গোলাপের পাপড়ি ছিড়ে কি হবে?
-মজা হবে

গোলাপগুলো কিনে সত্যি সত্যিই পাপড়ি ছেড়া হলো। যতোটুকু
মজা হবে ভেবেছিলাম তার চেয়ে মেয়েটা বোধহয় বেশিই
মজা পেয়েছে। তার চোখমুখ আনন্দে জ্বল জ্বল করছে!
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার মাথা ঝিমঝিম করছে।
রেস্টুরেন্টে ভালোমতো খেলাম।
তারপর স্যানমারের ক্যাটস্ আই থেকে একটা শার্ট-প্যান্ট
সাথে একটা ঘড়িও কিনলো
কি আশ্চর্য!
সারাদিনের রিক্সায় ঘুরা থেকে শুরু হোটেল বিল এখন আবার
জামা-কাপড়.....
.
এরপর আবারো ঘন্টাখানেক রিক্সায়
ঘুরে মেয়েটা আমাকে সেই রাস্তাটার
সামনে নামিয়ে দিয়ে রিক্সা নিয়ে চলে গেলো
.
(যাবার আগে বললো)
-আমার দিকে ভালমতো তাকাও অভ্র
.
--আমাকে চিনতে পারছো?
.
-- ভালোমতো তাকানোর কিছু নাই। আমি চিনতে পারছি না
.
মেয়েটা ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একটা অনেক আগের কাগজ বের
করে আমাকে দিলো। আমি কাগজ টা নিয়ে চমকে উঠলাম।
এটা একটা চিঠি ।আমার হাতে লেখা!!
.
--শোভা!!!!!!!
কি আশ্চর্য আমার সামনে শোভা। আমরা তাদের
বাসার় পাশে থাকতাম। প্রচন্ড ভালো লাগা কাজ করতো। কিন্তু
ভয়ে বলতে পারি নি। যদি বাবা-মা কে বলে দেয়?
.
বাসা চেঞ্চ করার সময়
লুকিয়ে তাকে একটা চিঠি দিয়ে এসেছিলাম। সেটা নয়বছর
আগে!!
এতোদিন পর মেয়েটা আমাকে খুঁজে বের করেছে!
এতো কাছাকাছি থাকলাম এতোক্ষণ অথচ চিনতেই পারলাম না!
.
-তুমি তো চিঠিতে মিথ্যে কথা লিখছো
.
-কি মিথ্যা?
.
-চিঠিতে লেখা আছে তুমি আমাকে ছাড়া বাঁচবে না! কিন্তু
তুমি তো দেখি আমাকে ছাড়া দিব্যি বেঁচে আছো। হা ..হা ..
.
শোভা হাসছে। আমি অপলক দৃষ্টিতে তারদিকে তাকিয়ে আছি।
আমার ভিতরে কিছু একটা বের হয়ে যেতে চাইছে। সম্ভবত
আবেগের মাত্রাটা বেরেই গেলো যার কারণে দু'জনের চোখ
দিয়েই অশ্রু বেরিয়ে আসলো, প্রাপ্তির অশ্রু। বিশাল আকাশ
নিয়ে আবেগটা ছড়িয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এক আকাশ
শান্তি নিয়ে আমার বুকটা ক্রমশ প্রশান্তিতে ছেয়ে যাচ্ছে
খুব বলতে ইচ্ছে করছে
.
"পাইলাম আমি পাইলাম, অবশেষে আমি উহাকেই পাইলাম"

No comments:

Post a Comment