- মামা ভাড়া নাও।
- রাখ,আমি দেই। ব্যাগ থেকে টাকা বের করে রিক্সাওয়ালাকে দিয়ে দিল আনিকা।
- আমার ছিল তো।
- জানি।থাকুক।আজ কয় তারিখ?
- ২৭,কেন?
- মাসটা শেষ হতে এখনো তিন দিন বাকি তাই।বেতন পেলে তখন আবার দিও। এখন চুপচাপ ম্যানিব্যাগ পকেটে ঢুকাও।
এই মেয়েকে এখনো মিরাজ বুঝতে পারেনি। আজ এত বছরেও বুঝল না তাকে।কিন্তু আনিকা এত কিছু বুঝে কিভাবে? নিজেকে নিজে বোঝার আগে সে বুঝে যায়,কখন কি প্রয়োজন!
সবার কি এমন হয় ভাগ্যে?
নাকি তারই!
- আমি কি চলে যাব,না থাকব?
- না,তুমি থাকবে।আমি ঠিক এক ঘন্টা পড় বের হব।
- আচ্ছা।আমিও সাথে গেলে হত না? ৭ম বারের মত বলল মিরাজ।
- তজবী আনছ নাকি সাথে করে?
- না তো!কেন?
- জিকির লাগালে কেন সাথে যাব সাথে যাব করে? চুপচাপ ওয়েটিং রুমে গিয়ে বসো। আনিকা জানে,আজ তার জন্য
কি অপেক্ষা করছে। আজ রিপোর্ট দিবে। কিন্তু ছাপাকালির এ রিপোর্ট তার দরকার নেই।
সে জানে তার সময় খুব একটা নেই। তার বাবাও ক্যানসারেই চলে গেছে। কিন্তু এ পাগলকে ছেড়ে সে যাবে কিভাবে আর কটা দিন কি বিধাতা তাকে দিতে পারে না?
কতজনই তো শতবছর বাঁচে!
সে তো অতদিন বাঁচতে চায় না। সে শুধু পাগলটার হাত ধরে কিছুদিন থাকতে চায়....
- কি বলল ডাক্তার?
- ধুর! গ্যাস্ট্রিকের ঔষুধ দিল, আর কিছু না।
- তাহলে কাঁদছ কেন!
- তোমায় ভালোবাসি বলে!
- মানে?
- মানে কিছু না,চল ফুচকা খাই, তোমার প্রিয় খবার। বিল কিন্তু আমিই দিব।
- আর সাথে ঝালমুড়ি?
হেসে উঠল দুজনেই। চোখে পানি রেখে ঠোটে হাসি, বোধ হয় মেয়েরাই পারে। আর এমন ভালোবাসতে, ভাবল মিরাজ।
ভাবছে আনিকাও। দুজনের ভাবনা একজায়গায় গিয়ে মিশে। ভালোবাসার মাঝে এতটা ভালোলাগা কেন?
- রাখ,আমি দেই। ব্যাগ থেকে টাকা বের করে রিক্সাওয়ালাকে দিয়ে দিল আনিকা।
- আমার ছিল তো।
- জানি।থাকুক।আজ কয় তারিখ?
- ২৭,কেন?
- মাসটা শেষ হতে এখনো তিন দিন বাকি তাই।বেতন পেলে তখন আবার দিও। এখন চুপচাপ ম্যানিব্যাগ পকেটে ঢুকাও।
এই মেয়েকে এখনো মিরাজ বুঝতে পারেনি। আজ এত বছরেও বুঝল না তাকে।কিন্তু আনিকা এত কিছু বুঝে কিভাবে? নিজেকে নিজে বোঝার আগে সে বুঝে যায়,কখন কি প্রয়োজন!
সবার কি এমন হয় ভাগ্যে?
নাকি তারই!
- আমি কি চলে যাব,না থাকব?
- না,তুমি থাকবে।আমি ঠিক এক ঘন্টা পড় বের হব।
- আচ্ছা।আমিও সাথে গেলে হত না? ৭ম বারের মত বলল মিরাজ।
- তজবী আনছ নাকি সাথে করে?
- না তো!কেন?
- জিকির লাগালে কেন সাথে যাব সাথে যাব করে? চুপচাপ ওয়েটিং রুমে গিয়ে বসো। আনিকা জানে,আজ তার জন্য
কি অপেক্ষা করছে। আজ রিপোর্ট দিবে। কিন্তু ছাপাকালির এ রিপোর্ট তার দরকার নেই।
সে জানে তার সময় খুব একটা নেই। তার বাবাও ক্যানসারেই চলে গেছে। কিন্তু এ পাগলকে ছেড়ে সে যাবে কিভাবে আর কটা দিন কি বিধাতা তাকে দিতে পারে না?
কতজনই তো শতবছর বাঁচে!
সে তো অতদিন বাঁচতে চায় না। সে শুধু পাগলটার হাত ধরে কিছুদিন থাকতে চায়....
- কি বলল ডাক্তার?
- ধুর! গ্যাস্ট্রিকের ঔষুধ দিল, আর কিছু না।
- তাহলে কাঁদছ কেন!
- তোমায় ভালোবাসি বলে!
- মানে?
- মানে কিছু না,চল ফুচকা খাই, তোমার প্রিয় খবার। বিল কিন্তু আমিই দিব।
- আর সাথে ঝালমুড়ি?
হেসে উঠল দুজনেই। চোখে পানি রেখে ঠোটে হাসি, বোধ হয় মেয়েরাই পারে। আর এমন ভালোবাসতে, ভাবল মিরাজ।
ভাবছে আনিকাও। দুজনের ভাবনা একজায়গায় গিয়ে মিশে। ভালোবাসার মাঝে এতটা ভালোলাগা কেন?
No comments:
Post a Comment